শিক্ষিত যুবকের বুক ফাটা হাহাকার......
বেকারের আর্মনাদ
সামনে ভোট। তাই আজ অনেক রাজনৈতিক নেতারা অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কেউ বলছেন এখনো অনেক ঘরের ছেলেমেয়েরা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারছেন না। বর্তমান সরকার বলছেন মাসিক জেনারেল দের ৫০০ টাকা আর বাকিদের ১০০০ করে টাকা দেবেন। এছাড়াও ১০০০০ করে টাকা দিয়েছেন যাতে ছেলে মেয়েরা মোবাইল বা ট্যাব কিনে পড়তে পারে অনলাইনে। খুবই ভালো মেনে নিলাম এসব । সরকার অনেক কিছু করছেন তাও বুঝলাম। কিন্তু আমার সাদা মনে একটাই প্রশ্ন যে আমরা এত পড়াশোনা করে করবটা কী!! যদি আপনি চাকরীটাই না দেন??? এক জন স্নাতকোত্তর হোন সাধারণত ২৩বছর বয়সে। টিচার ট্রেনিং নিয়ে বয়স্ হয় ২৫বছর। অনেক দিন ছাড়া এসএসসি হওয়ার দারুন এক দু বার এক্সাম দিয়েই বয়স ৪০এর কোঠায় এসে দাঁড়াচ্ছে। তাই দিনের পর দিন প্রায় ১০বছর আমরা চাকরী না পেয়ে ......সংসারের বোঝা হয়ে দিনের পর দিন হেরে চলেছি।
আমরা যখন দিনের পর দিন নিজের স্বপ্নটাকে ভেঙে যেতে দেখি...... বড্ড কষ্ট হয় জানেন তো।!! বিশ্বাস করুন,আমাদের ২ টাকা কেজি চাল, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, সাইকেল,ভাতা এইসব কিচ্ছু চাই না, আমরা শুধু চাকরীটা চাই বাকি সব আমরা নিজেরাই করে নেব। আমাদের এত পড়াশোনা করে একটা চা এর দোকানে বা রাজমিস্ত্রির কাজ,বা অন্যের বাড়িতে কাজ করতে বা চপ ভাজতে সত্যি বড্ড কষ্ট হবে। যদিও কোনো কাজ এই ছোট নয়। কিন্তু যদি এই কাজ গুলো ই করতে হয় তাহলে .... বি.এ, এম.এ, ডি.এল.এড , বি.এড, এম.ফিল,পি.এইচ.ডি করার কি দরকার। ছোট থেকে পড়াশোনা না করে এইসব কাজ করাই ভালো। যে মেয়েটা একদিন চাকরী করে নিজে স্বাধীন হবে ভেবে ছিল আজ রাজ্যে চাকরী নেই বলে সেই মেয়েটাকে বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হচ্ছে। বিয়েতে সে রূপসীর টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু চাকরী পেলে ওই টাকা তার কাছে নস্য হতো। আর রোজ তার শ্বশুর বাড়িতে রান্না জানেনা বলে... বাড়ির কাজ জানেনা বলে... কথা শুনতে হচ্ছে। আর ওই যে ছেলেটার বাবাকে দেখছেন উনি কত স্বপ্ন দেখেছিলেন তার ছেলেকে নিয়ে কিন্তু দিনের পর দিন চাকরী না পাওয়ায় ছেলেটা ক্লান্ত,হতাশাগ্ৰস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে, ভাবুন তো ওর বাবার ভিতরটা কীভাবে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।আর ওই যে ওই ছেলেটা যে চাকরীটা পাইনি বলে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে,সে নাকি তার প্রেমিকার চোখে অয্যোগ্য !! কিন্তু বিশ্বাস করুন ও কিন্তু হেরে যেতে চাইনি ও তার প্রাক্তন প্রেমিকার কাছে নিজের যোগ্যতা টা প্রমাণ করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু আজ চাকরী নেই বলে এই ছেলেটাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কেউ বাবার দেওয়া সামান্য পুঁজি নিয়ে একটু দোকান লাগিয়ে বসেছে। কিন্তু একি দোকান অনেক ... অনেক হওয়ার দরুন বাজার এতই খারাপ দিন শেষে পেটের জোগাড় টুকু বিলাসিতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মনের ভিতরটা কষ্টে দুমড়ে যাচ্ছে। ....... এইভাবে কতো ছেলে মেয়েদের কতো স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে। অনেক জন তো হার মেনেই নিয়েছে....সত্যি বলছি আমরা আর পারছিনা নিজের স্বপ্নটাকে ভেঙে যেতে দেখতে....আর পারছিনা......। বাঁচান.....। বর্তমান সরকারের অনেক নীতি সত্যি প্রশংসনীয়। শুধু বেকার দের নিয়মিত নিয়োগ সব সরকারী পদ পূরণ হলেই অনেক বেকারের পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। আর এই হাসি বাংলাকে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনের দাবীদার করে তুলবে।
Comments
Post a Comment